Posts

Showing posts from October, 2017

গোলের রস ও গোলের মিঠা

Image
আমার বয়স যখন ৭/৮ বৎসর তখকার কথা, নদীর কাছে, গোলগাছের ডিকা কেটে এক ধরনের নৌকা বানাতে চেষ্টা করতাম ও ভাষাতাম, এটা তৈরি করতে ব্যবহার করতাম খেজুরের কাটা ও লতা পাতা। এটা ছিল এক ধরনের খেলনা। সাথে আমার চাচাতো ভাই ও ফুফাতো ভাই ছিল খেলার সাথি। খুব ছোট্ট বেলা থেকেই আমরা এই গোলপাতা বা গোল গাছের সাথে পরিচিত ছিলাম, বা আছি, কারন আমার বাড়ি আমতলী ও তালতলীর মধ্যেখানে। তখন এই গোলপাতা দিয়ে আমাদের গরুঘর ও পাকের ঘর তৈরি ছিল, বাকি ঘর ছিল, টিনের ছাউনি, আমি জন্ম হয়েই টিনের ঘরে বসবাস করে আসছি। আমাদের গ্রামের ৮০% বাড়ী ঘরই গোলপাতার ছিল। বর্তমানে এই গোলপাতার দেখা মেলা মোটামুটি ভার। সবার ঘরগুলোই টিনের ও কিছু ইমারত। গোলপাতা, শুনলেই মনে হয পাতাটা গোল আসলে এর পাতা গোল নয়, কিন্তু তারপরেও তার নাম গোলপাতা। এটি মূলত পাম জাতীয় বৃক্ষ। বৈজ্ঞানিক নাম Nypa fruticans। এই গাছগুলো নদীর পার জুড়েই জন্মে তবে জোয়ার ভাটা থাকতে হবে এবং লবনা্ক্ত পানিতেই তার বেশী দেখায়। গোলপাতার গাছ বাংলাদেশের সুন্দরবন ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনেক দেশের সমুদ্রতীরবর্তী অংশে জন্মে। বাংলাদেশ ছাড়া ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েৎনাম, শ্রীলঙ্

কাঠবাদাম হার্ড সুস্থ্য রাখে

Image
ক। সুপারফুড কাঠ বাদাম বাড়ায় পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কাঠবাদাম কমবেশি সবার কাছেই পরিচিতি। কাঠবাদাম অনেক উপকারী একটি খাদ্য। কাঠবাদামের গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকেই আমরা একে এড়িয়ে যাই। কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। কাঠবাদামের আঁশ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এবং ফাইটো-ক্যামিক্যালসে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি আদর্শ খাদ্য। প্রাচীনকালে কাঠবাদাম প্রাচুর্য্য এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মনে করা হতো। এই বাদাম শক্তি ও পুষ্টির যথাযথ উৎস। এরা প্রধানত মনো-আন্স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যেমন অলিইক এসিড এবং পালমিটোলিইক এসিডের এসিডের আদর্শ উৎস,যা শরীরের এলডিএল বা বদ কোলেষ্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি এইচডিএল বা ভালো কোলেষ্টেরলকে বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রকাশিত, মনো-আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে স্বাস্থ্যকর লিপিড প্রোফাইল তোইরী করে করোনারী আর্টারী ডিজিজ এবং ষ্ট্রোক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। খাদ্যনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যারা ওজন কমাতে চান, কাঠবাদাম তাদের জন্য আদর্শ। রাতের কার্বোহাইডেট (শ্বেতসার) জাতীয় খাবার গহন কমিয়ে একমুঠো কাঠবাদাম

[পায়েশের সাথে কিসমিস[

Image
আমরা পায়েশ খেতে ভালবাসি না এমন লোক হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। এই পায়েশকে সু-সাধু করার জন্য কিসমিসের কোন তুলনাই হয না। তাই আজ আমরা জেনে নিবো এই খাবার টা আমাদের কি উপকার করে থাকে- কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস সর্বজন পরিচিত। যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়। রান্নার কাজে ব্যবহার করা হ’লেও কিসমিস সাধারণ ভাবে খাওয়া হয় না। অনেকে এটাকে ক্ষতিকর মনে করেন। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। কিসমিসের গুন অনেক! তাই পরিবারের সব সদস্যের প্রয়োজনে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখা উচিত। নিম্নে কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ ক।    [দেহে শক্তি সরবরাহ করে: দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার। কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং

সুন্দরবন কত দুর (ভ্রমন কাহিনী)

Image
বাগেরহাটের জোনাল অফিস হতে রওয়ানা হলাম, বাজুয়া সাইটে যেতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাক মোটর সাইকেল সহ আমার সহকর্মী অফিসার মাসুদ সাহেব দাড়িয়ে আছে। তিনিই ড্রাইভার এবং আমি তাহার সহ-যাত্রী হিসাবে রওয়ানা হলাম, মাঝে মাঝে অনেকগুলো সাইটে দাড়াতে হলো, সাথে কিছু ডকুমেন্টও অন্যান্য জিনিস পত্র আছে, সে গুলো সাইটে পৌছাতে হবে। হেলমেট পড়া থাকলেও কনকনে শীত গাঁ ছুয়ে যায়ে। মোটর সাইকেলে গতি ৮০ এর কাছাকাছি, কিছু সময়ের ব্যবধানে একটা নৌকা ঘাটে পৌছে গেলাম। আমি তখনও জানি না, আমার গন্তব্য কোথায়। নৌকা পার হলাম, একটি ইউনিয়নে পৌছলাম কিন্তু এটাকে কোন ক্রমেই ইউনিয়ন বলা যাবে না। এখানে ডিগ্রী কলেজ আছে। আছে সরকারী মহিলা কলেজ, ব্যাংক সহ সমস্ত নাগরিক সুবিধা কিন্তু বাধ সাধলো মসজিদ। কোন মসজিদ খুজে পেলাম না। একটি যদিও পেলাম তা আবার তালা বন্ধ। যাই হোক নামাজ পড়া হলো। মোটামোটি বড় একটি প্রজেষ্ট। একটি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে উঠলাম। একখানে থাকার জায়গাটা বেশ সুন্দর আমার পছন্দ হয়েছে। এখানে যারা আছে সবাই আমার জুনিয়র, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়র সাহেব এখানে থাকেন না। তিনি বাগের হাছে থাকেন, তা ছাড়া তিনি হিন্দু মানুষ, থাকা খাওয়ার হয়তো অসুবিধা

রাগ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি

আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি ব্যাপারে জরুরী কথা বলার জন্য প্রায়ই দেখা যায়, মানুষ রেগে একজন অন্য জনকে গালাগালি করে, বিভিন্ন ঝামেলা জড়াইয়া যায়, কোন ক্ষেত্রে হত্যা এবং আত্মহত্যার সৃস্টি করে এমন কি কঠিন কঠিন বিপর্যায়ের সুষ্টি করে। তা হলে এই ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের জানা প্রয়োজন, কেন এমন হয়? কোরআন এই ব্যাপারে কি নির্দেশ আমাদেরকে দিয়াছেন। আমরা কতটা তা অনুসরন করি? এবার আসা জান মানুষ যেমন হাসে, কাঁদে, তেমনি রাগ হওয়াটাও স্বাভাবিক ব্যাপার। তেমনি রেগে গেলে সে যদি তা প্রকাশ করে, তাও কিন্তু স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত রাগের বহিঃপ্রকাশ একজন মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যার প্রভাব পড়তে পারে তার পারিবারিক কাজকর্মে এবং ব্যক্তিগত জীবনে। রাগের জন্যই মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাগ মানুষকে তার আপনজনের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেয়। সুন্দরকে মুহূর্তের মধ্যে কুৎসিত করে তুলবার জন্য রাগ হল সবচেয়ে শক্তিশালী একটি ধারালো অস্ত্র। যাহা স্বাভাবিক মানুষ থাকে না, রাগাম্ভিত ব্যক্তিটি একটি অপরিচিত মানুষে পরিনত হয়ে যায়। আগে আমাদের জানতে হবে রাগ কি ? রাগ হল অতিসহজ এবং স্বাভাবিক একটি আবেগ

কাউফল-দেশীয় ফল

Image
আমরা যারা গ্রামের মানুষ তারা কমবেশী কাউফলের সাথে পরিিচিত, আমার বাড়ীতে বেশ কয়েকটা গাছ আছে, এই গাছে বৎসরে একবার ফল আসে তবে তা, বেশীর ভাগ পাখিরাই খেয়ে ফেলে, আমরা যখন টের পাই কথন দেখা যায়, গাছে সামান্য কিছু ফল আছে, বাকি গুলো পাখিরাই সাবাড় করেছে। এই ফলের বোটা বেশ শক্ত তাই মাটিতে পড়ার আগেই পাখিরা খেয়ে ফেলে। কাউ বা কাউফল (ইংরেজি: Cowa (mangosteen); বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia cowa Roxb বা Garcinia kydia Roxb) এক ধরণের অপ্রচলিত টক স্বাদের ফল। এর অন্যান্য নাম হলো- কাউয়া, কাগলিচু, তাহগালা, ক্যাফল, কাউ-গোলা ইত্যাদি। এর গাছ মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ জাতীয়, ডালপালা কম, উপরের দিকে ঝোপালো। গাছের রঙ কালচে। সাধারনত জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে কমলা বা হলুদ হয়। ফলের ভেতর চার-পাঁচটি দানা থাকে। দানার সাথে রসালো ভক্ষ্য অংশ থাকে, যা চুষে খেতে হয়। কাউ খেলে দাঁতে হলদেটে কষ লেগে যায় বলে ফলটি জনপ্রিয় নয়। ফলের আকার লিচুর সমান বা সামান্য বড় হয়। বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে কাউ গাছ দেখা যায়। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয

একটি বালকের জীবন গাথা

আমাকে যেতে হবে নারায়নগঞ্জ, যদি বাসে করে যাই তবে সময় লাগবে, ৫/৬ ঘন্টা আর যদি ট্রেনে যাই তবে সময় লাগবে সর্বউচ্চ ২ ঘন্টা। বাসা থেকে নতুন বিমান বন্দর রেল স্টেশন, টিকিট কাটতে যতটা সময় লাগলো, ট্রেন এসে গেল, উঠে পড়লাম। যেহেতু ইন্টার সিটি ট্রেন সময় লাগলো না। বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর আসতেই সময় লাগলো মাত্র আধা ঘন্টা । ছোট্ট বেলার বন্দুর সাথে দেখা, তাকে সময় দিতে গিয়ে আমি নারায়নগঞ্জের ট্রেন দুই/এক মিনিটের সময়ের ব্যবধানে হারাতে হলো। কিছুই করার নাই, দুই ঘন্টা অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কিছুই করার নাই, টাউনের প্রায় রাস্তাই খোরাখুড়ির কাজ চলছে, তাই সাহস হারাইয়া ফেলেছি। রামপুরা, বাড্ডা সমস্ত রাস্তাই খোড়াখুড়ির কাজ চলছেই। আর একটা কথা না বললেই নয়, ঢাকার রাস্তার কাজগুলো সাধারনত: এই বর্ষার দিনেই শুরু হয়। জানি না তার পিছনে কি কারন আছে, এক মাত্র ইঞ্জিনিয়র সাহেবরাই জানেন, তবে এটা যে কোন লোকই পছন্দ করেন না, তা আমি হলফ করে বলতে পারি, যাই হোক আমি আমার মূল গল্পে ফিরে আসতে চাই। এক পসরা বৃষ্টি হলেও গরম কুমছে না। মানুষ হাপাচ্ছে আর হাপাচ্ছে, কোথায় দাড়াবো জায়গা খুৃজতে ছিলাম এমন সময় চোখে পড়লো, একটি বেঞ্চিত

"ঢেউয়া" একটি গ্রাম্য অপরিচিত ফল

Image
আজ আপনাদের সাথে এমন একটি ফলের সাথে আপনাদের পরিচয় করাইয়া দেব, যার কদর কারো কাছেই নাই। আমাদের গ্রামের আনাছে কানাছে হয়ে থাকে, পাখিরা খেয়ে বাচেঁ, কিন্তু এই ফলগুলোর আমাদের জন্য কেমন উপকারী ও তার গুনাগুন কত যে বেশী, তা চিন্তা করা সম্ভব না। কিছুকিছু ফল আছে যেগুলোর খুব একটা পরিচিতি না থাকলেও তাদের রয়েছে অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ। ডেউফল বা ডেউয়া হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। অঞ্চলভেদে এই ফল মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত। ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল, ঢেউফল ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে এটি অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল হলেও শহরাঞ্চলে এটি একটি অপ্রচলিত ফল। আগে গ্রামে এই ফলের চাষ হয় করা হত। তবে বর্তমানেএই ফলের চাষ খুব একটা দেখা যায় না। যে সকল যায়গা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, সে খানে এই ফলের চাষ করা যেতে পারে। তাতে দুই উপকার হবে। ফল ও কাঠ পাওয়া যায়। বিশাল আকৃতির ডেউয়া গাছ চিরসবুজ বৃক্ষ। পাতাগুলো বড় এবং খসখসে, অনেকটা ডুমুরের পাতার মতো। এক একটি গাছ ২০-২৫ ফুট উঁচু হয়। এর কাঠ বেশ উন্নত মানের, বড় বড় জিনিসের কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গাছে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ফুল আসে এবং জু

ফাতরা জংগল ও আমার ছেলেবেলা (৩য় পর্ব)

আমার জীবনের একটি চরম অজ্ঞিতাও বলা চলে। আমার বাড়ী আমতলী ও তালতলীর মাঝামঝি স্থানে, সে দিন বিকাল বেলা আমি এবং আমার খেলার সাথিরা গোলের ডিগা দিয়া নৌকা বানাইয়া ভাসাইতে ছিলাম এবং আনন্দ অনুভব করতেছিলাম। আমরা প্রায়ই এই কাজটা করতে ভাসতাম, মাঝে মাঝে তাতে পাল তুলতাম আবার না ধরনের সাজ সজ্যা করতাম, এটা ছিল নিতান্তই খেলা। বরাবরই আমার সাহসটা একটু বেশী ছিল। দুষ্টমি করায় একটু পটুই ছিলাম। এজন্য অনেক বার বকাঝকা খেতে হয়েছে। তাড়াও খেতে হয়েছে শত শত বার তবুও এই সহসি কোন কাজ সমনে আসলেই আমি তাদের সামনের কাতারেই থাকতাম, বাবা আমাকে প্রায়ই বলতো, তোমার যা মনে চায় তুমি তাই কর, আমার কথাতো মোটেই শোন না, তাই তোমাকে আমি আর কিছু্ই বলবো না। তবে মা আমাকে ছাড়তো না, মাঝে মধ্যে পিটুনিও দিত। সে দিন আকাশে মেঘের আনাগোনা একটু বেশী, ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে, তার সাথে একটু একটু বাতাসও আছে। আমার বড় ভাই গরু দুটো এবং মহিষ গুলোকে বেধে এসে বাবাকে বলতে লাগলেন, "আকাশের অবস্থা বেশী ভালনা, বুঝা যায় না কি হয়।" বাবা তার স্বাভাব মতই বললেন, "আল্লাহু যা চান তাই হবে।" আমি একবার প্রতিদিনের মত মহিষগুলোকে একবার

ফাতরা জঙ্গল ও আমার ছেলেবেলা (পর্ব-২)

ছোটবেলা থেকেই একটু দুষ্টমি বেশি করতাম। আমার সহপার্টি দুই জন, একজন আমার চাচাতো ভাই আবদুল কুদ্দুস ও তার বৈমাত্রিক ভাই ইউনুছ, নাম দুইটা বেশ সুন্দর। তারা সবসময় আমার কাছে কাছে থাকতো, নদীতে যখন জোয়ার আসতো নদী কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যেত, জেন সে এক বিষ্ময় আনন্দ। আমরা তিন জন প্রায় সময়ই ছইলা, কেওড়া গাছ থেকে লাফ দিয়া জোয়ারের পানিতে পড়তাম, এটা এক ধরনের আনন্দও বটে। কিন্তু এর পিছনে অনেক বড় বিপদ থাকতে পারে তা আমাদের কারোই জানা ছিল না। বড় বড় মাছ জোয়ারের পানিতে চলে আসতো, সব চাইতে বেশী ভীতির কারন ছিল যেটা, সেটা হলো কুমির ও হাংগর মাছ, যাহা মানুসের জন্য প্রধান ভীতির কারন, কিন্তু এর ক্ষতির পরিমান টা আমাদের জানা ছিল না। আমরা যখন সুজোগ পাইতাম আর কথা নেই সাথিদের পাইলেই নদীতে সাতার কাটতাম এবং গাছ থেকে ঝাপ দিতাম। এক দিন আমরা তিন জন একই নিয়মে কেওড়া গাছ, সে অনেক উচ্চ চল্লিশ পঞ্চাশ হাতের বেশী হবে বৈকি। আমরা একত্রে তিনজন গাছে উঠলাম এবং লাফ দিয়া ঝপাত করে নদীতে লাফিয়ে পড়লাম। সে কি আনন্দ ... সাতরে আবার কিনারে, আবার গাছে উঠলাম।এমনি করে, বারবার পালা করে লাফা লাফি করছিলাম। এমন সময় দেখা গেল আমাদের চারটা

ফাতরা জংগল ও আমার ছেলেবেলা

Image
কিরে বাদশা ভাল আছ ?  হ্যাঁ মুই ভাল আমি, আমনে ক্যামন আছেন?  হ ভাল।  আচ্ছা বাদশা তোর কি ভয় করে না? একা একা এই মহিষ গুলোকে নিয়া এই ফতরা জংগলে থকতে। বাদশা উত্তর করলো না ভাই জান , মা কইছে। গরিবের ভয় করতে নাই।ভয় ডর থাকে বড় লোকদের।  আচ্ছা, তাই বুঝি। আমি অভাক হলে ওকে একবার দেখলাম। আরে ভয় ডর নাকি গরীবদের থাকতে নাই। এটা আবার কেমন শান্তনা।  একজন মা এমন কঠিক হয় কি করে। যেখানে বাগের ভয় আছে, আছে বিচিত্র ধরনের জীব-জানোয়ার।  আমি আমার বাবা ও চাচার সাথে বাদশাকে দেখার জন্য ফাতরা জংগলে গেলাম । আসলে উদ্যেশ তাকে খাবারের জন্য চাল ডাল লবন ও কিছু বাজার পৌছায়ে দেয়া।  তখন আশ্বিন মাস আমাদের কৃষি কাজের শেষ হয়ে গেলে, মহিষগুলোকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য সাধারনত ফতরা জংগলের চরে পাঠানো হয়। এবং পৌষ মাসের শেষে আনা হয়। কিছু দিন পর পর রাখালদেরকে খাবার পৌছে দেওয়ার প্রয়োজন হয়।  আমরা যখন সেখানে পৌছলাম বেলা প্রায় শেষ জোয়ারের পানিতে খালগুলো কানায় কানায় পরিপুর্ণ হয়ে আছে। চাচা নৌকাটাকে একটা কেওঢ়া গাছের সাথে বাদলেন এবং আব্বা বারবার মাঝিকে বলতে লাগলেন তাড়া তাড়ি করো, সবাইবে গাছে উঠতে হবে। আর আমাকে ধমকাতে লাগলেন। তোমাকে বললা