কাঠবাদাম হার্ড সুস্থ্য রাখে

ক। সুপারফুড কাঠ বাদাম বাড়ায় পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা
কাঠবাদাম কমবেশি সবার কাছেই পরিচিতি। কাঠবাদাম অনেক উপকারী একটি খাদ্য। কাঠবাদামের গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকেই আমরা একে এড়িয়ে যাই। কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। কাঠবাদামের আঁশ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এবং ফাইটো-ক্যামিক্যালসে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি আদর্শ খাদ্য। প্রাচীনকালে কাঠবাদাম প্রাচুর্য্য এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মনে করা হতো। এই বাদাম শক্তি ও পুষ্টির যথাযথ উৎস। এরা প্রধানত মনো-আন্স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যেমন অলিইক এসিড এবং পালমিটোলিইক এসিডের এসিডের আদর্শ উৎস,যা শরীরের এলডিএল বা বদ কোলেষ্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি এইচডিএল বা ভালো কোলেষ্টেরলকে বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রকাশিত, মনো-আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে স্বাস্থ্যকর লিপিড প্রোফাইল তোইরী করে করোনারী আর্টারী ডিজিজ এবং ষ্ট্রোক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
খাদ্যনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যারা ওজন কমাতে চান, কাঠবাদাম তাদের জন্য আদর্শ। রাতের কার্বোহাইডেট (শ্বেতসার) জাতীয় খাবার গহন কমিয়ে একমুঠো কাঠবাদাম বা কাঠাবাদাম-আখ্রোট মিশ্রন ওজন কমাতে এবং কোলেষ্টেরল কমাতে দারুন সাহায্য করবে। সকালে এবং রাতে কাঠবাদাম খাদ্য হিসাবে গ্রহন স্থুলত্ব কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের নির্যাসিত তেল ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং জলীয় ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম কিংবা কাঠবাদাম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনাকে অনেক রোগ এবং ঔষধ থেকে দূরে রাখতে পারে এবং দৈনিক চাহিদার প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রোটিনের জোগান দিতে পারে। কাঠবাদাম এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষন করতে হবে। কাঠবাদাম বা আলমন্ড কাঁচা, ভাজা বা লবন দিয়েও খেতে পারেন। চীনা বাদামের মতো, আলমন্ডেও অনেকের এলার্জী থাকতে পারে, বাদামে এলার্জী থাকলে না খাওয়াই উত্তম। সম্প্রতি ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদাম খেলে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বাড়বে। তুরিনের এক হাসপাতালে ১০০ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রমাণিত হয় দৈনিক মাত্র ৭টি কাঠবাদামে বা যে কোনো বাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বাড়বে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক খাদ্য তালিকায় ৭টি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অন্যদলকে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ এবং শস্যজাতীয় খাদ্য দেয়া হয়।
দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা চালু থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, দ্বিতীয় দলের তুলনায় প্রথম দলের প্রজনন ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে।

খ। কাঠ বাদামের ৯ গুন

কাঠবাদাম আমাদের কাছে অতি পরিচিত। স্বাদের তুলনায় কাঠবাদাম পুষ্টিগুণেই বেশি সমৃদ্ধ। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং উপকারী ফ্যাট। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে – এনার্জি ৫৭৮ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম, আঁশ ১২ গ্রাম, ফ্যাট ৫১ গ্রাম, প্রোটিন ২২ গ্রাম, থায়ামিন ০.২৪ মিলিগ্রাম, রাইবোফ্লেভিন ০.৮ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৪ মিলিগ্রাম, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ২৬.২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৭৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৭৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭২৮ মিলিগ্রাম। এছাড়াও কাঠবাদামে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে স্বাস্থ্যের যে উপকার পাওয়া যায়, তাহল…

১. কাঠবাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন ও পটাশিয়াম হার্ট ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. কাঠবাদামের ভিটামিন ই হার্টের নানারকম রোগ হবার আশঙ্কা দূরে রাখে। কাঠবাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩. কাঠবাদামে রয়েছে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাভোনয়েড’, যা বিভিন্ন ধরনের অসুখ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। কাঠবাদাম কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

৪. কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।

৫. কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৬. মোনোপেজের পর নারীদের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা মোনোপেজকালীন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৭. কাঁচা কাঠবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস যা ক্ষুধা কমায়। এতে করে ওজন কমতে সাহায্য করে।

৮. চুল পড়া, চুলের রুক্ষতা এবং মাথার ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের তেলের জুড়ি নেই। কাঠবাদামের ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া রোধ করে এবং মাথার ত্বক উন্নত করে। চুলে সরাসরি এই তেল লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৯. কাঠবাদামের গুঁড়ো খুব ভালো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। কাঠবাদাম বেটে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও কোমল।

গ। স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে কাঠ বাদাম

কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। এটা কে ঠিক বাদাম বলা যাবে না, এটা এক ধরনের খাদ্য বীজ। ভালো মানের কাঠবাদাম পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়াতে। কাঠ বাদাম ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। তাছাড়া কাঠ বাদামে আছে ডায়েট ফাইবার যেটা হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঠ বাদাম শরীরের কলেস্ট্রল কমায়, ক্যানসার রোধ করে, শক্তি সঞ্চার করে, ত্বক কে উজ্জ্বল রাখে। আজকে জেনে নিই ত্বক, চুল এবং স্বাস্থের জন্য কাঠ বাদামের উপকারিতা -

ত্বকের যত্নে কাঠবাদামঃ

১। কাঠবাদামে আছে ভারী ময়েশ্চারাইজার। ভারী হলেও এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক এ যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারে না, তাদের জন্য অনেক উপকারী।

২। কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। তাই এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। ত্বকে এ নিয়মমিত তেল দ্বারা মাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বারে, তাতে করে ত্বক সুস্থ থাকে।

৩। কাঠ বাদামে আছে ভিটামিন ডি। ছোট শিশুদের এই তেল দিয়ে পুরা দেহ মাসাজ করলে, হাড় মজবুত হয়।

৪। কাঠ বাদামে ভিটামিন ই আছে। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি ত্বক কে সূর্যের হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বক কে ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কাঠ বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৫। কাঠ বাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীর শুষে নেয়। তাই যেকোনো সিজনে কাঠবাদাম তেল শরীরে লোশনের পরিবর্তে দেওয়া যাবে।

৬। কাঠ বাদাম তেল হল প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল অথবা প্রিজেরভেটিভ নেই। তাই এই তেল কে সিরাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ পরিষ্কার করে চোখ সহ ,পুরা মুখ ঘড়ির কাটার উলটো দিকে মাসাজ করুন। ফলাফল সরূপ নমনীয় এবং তুলতুলে ত্বক পাবেন। তাছাড়া এটি মুখের লোমগ্রন্থি বন্ধ করে না। তাই ব্রণ হবারও ভয় থাকে না।

৭। কাঠ বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

৮। কাঠ বাদাম তেল চোখের নীচে কালো দাগ দূর করে। তাছাড়া কাঠ বাদাম বেটে, ওই পেস্ট রাতে ঘুমানোর সময় চোখে দিয়ে ঘুমালে, চোখের নীচের কালো দাগ চলে যায়। চোখের বলিরেখা, চোখ ফুলা ভাবও কমে যায়। কাঠ বাদাম চোখের নীচের দাগ দূর করতে যেকোনো ভালো আই ক্রিম এর থেকে ভালো।

৯। কাঠ বাদাম ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদামের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করলে , ত্বকের বলি রেখা কমবে। তাছাড়া মধু, লেবু, কাঠ বাদাম তেল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময় এবং মুখের বয়সের ছাপ কমে যাবে।

১০। কাঠ বাদাম স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে। কাঠ বাদাম দানা দানা রেখে গুড়ি করে, তার সাথে মধু, এবং টক দই দিয়ে মুখ আলতো আলতো করে মাসাজ করলে, স্ক্রাব এর কাজ হয়ে যাবে।

১১। ভারী মেকাপ তুলতে কাঠ বাদাম তেল সামান্য একটু নিয়ে পুরা মেকাপ পরিষ্কার করা যাবে।

স্বাস্থ্যের যত্নে কাঠ বাদাম তেলঃ

প্রতিদিন ১০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেলে, আমরা অনেক অসুখ থেকেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি।

১। কাঠ বাদামে আছে মনসেচুরেটেড ফ্যাট। এটি শরীরে কলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে শরীরে HDL কলেস্ট্রল অথবা ভালো কলেস্ট্রল বাড়াতে সাহায্য করে। একটি রিসার্চ এ দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১ টি করে কাঠবাদাম খেয়েছে তাদের কলেস্ট্রল ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন দুটি করে খেয়েছে তাদের কমেছে ৯.৪% ।

২। কাঠ বাদামে এমন ফাইবার আছে যেটি কলন ক্যানসার রোধে সহায়ক। তাছাড়া কাঠ বাদামে ভিটামিন ই, Phytochemicals এবং flavonoi আছে যেটি ব্রেস্ট ক্যানসার রোধে সহায়তা করে।

৩। কাঠ বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।

৪। কাঠ বাদাম তেল শরীরের শক্তি সঞ্চালন করে। এতে আছে রিবফ্লাবিন, ফসফরাস, কপার, যেটা শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৫। কাঠ বাদামে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি। এটি শরীরে হাড় এবং দাঁত মসবুত করে। তাছাড়া যাদের হাড় ক্ষয়, আরথাইটিস রোগ আছে, তাদের জন্য কাঠবাদাম তেলের মালিশ অনেক ভালো।

৬। এছাড়াও কাঠ বাদাম এনিমিয়া, জন্ম গত ত্রুটি, মস্তিষ্ক এর শক্তি বাড়াতে সহায়ক।

চুলের যত্নে কাঠ বাদামঃ

১। কাঠ বাদামে রয়েছে চুল বান্ধব মনো ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সাথে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এরা চুল কে পুষ্টি দেয়, চুল কে শক্ত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুল কে সফট, সোজা এবং সিল্কি রাখে।

২। কাঠ বাদামে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের ফসফরাস। যেটি ভালো চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চুল পড়ে প্রধানত ফসফরাস এর অভাবে। রেগুলার কাঠ বাদাম খেলে ফসফরাসের অভাব মিটবে। শরীর এর ফাংশন থেকে শুরু করে চুলও প্রোটিন পাবে।

৩। যারা চুল এর খুশকি নিয়ে চিন্তিত, তারা ১:১ অনুপাতে কাঠ বাদাম তেল + নিম তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলেন। আশা করি খুশকির সমস্যা থাকবে না।

৪। কাঠ বাদাম তেল এর সাথে রস্মারি এবং ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার তালু মাসাজ করলে চুল পড়া কমবে।

৫। কাঠ বাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল এর আগা শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে, চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।

কাঠ বাদাম মোটামুটি সব জায়গায় পাওয়া যায়। ভালো মানের কাঠ বাদাম পাবেন মোস্তফা মার্ট, ইউনি মার্ট, আগরা ইত্যাদি। দেশি কাঠ বাদাম দাম পড়বে ৫০-১৫০ আর বিদেশি গুলো ৫০০-৭৫০। বিদেশি গুলো কেনা ভালো এবং এক প্যাকেটে ১ কেজির মত থাকে।

কাঠ বাদাম নিজে ভাঙ্গিয়ে তেল করে নিলে অনেক ভালো হয়। কোন কেমিক্যাল থাকে না। তাছাড়া অনলাইন পেজ izdihar ১০০% খাটি কাঠ বাদাম তেল বিক্তি করে। দাম ১০০ গ্রাম ৪০০ টাকা। এছারা রয়েছে ওয়েলস এর কাঠ বাদাম তেল, দাম ১৪০-১৬০। চুলের জন্য ডাবার কাঠ বাদাম তেল অনেক ভালো। দাম ১৫০-২৫০।

ঘ। কাঠ বাদাম আর কাজু বাদাম দুইটা কি একই জিনিস? এদের মধ্যে বৈশিষ্ঠ্যগত কি কি প্রার্থক্য রয়েছে যা দেখে দুইটাকে পৃথক করতে পারব?





না একই না,দুটির মধ্যে বৈশিষ্ঠগত এবং সবচেয়ে পরিচিত পার্থক্য হচ্ছে
ছবিতে দেখে বুঝে নিতে সহজ হবে,সাদা রং এর হালকা বাঁকানো টি হচ্ছে কাজু বাদাম আর লম্বাকারে বাদামী রং কাটা দাগযুক্ত গুলো হচ্ছে কাঠ বাদাম
কাঠ বাদাম সোজাসুজি আকারের আর
কাজু বাদাম একটু বাঁকানো টাইপ এর হয়ে থাকে
কাঠ বাদাম এর চোকলা বেশ শক্ত আকারের
আর কাজু বাদামের চোকলা তেমন শক্ত না,
কাঠ বাদাম গাছ আকারের বেশ বড় হয়
কিন্তু কাজু বাদামের গাছ তেমন বড় নয়
কাঠ বাদাম এক থোকায় থোকায় কয়েকটি ধরে
কিন্তু কাজু বাদাম একটি ধরে
কাঠ বাদামকে বলা হয় Almond আর কাজু বাদাম কে আমরা Cashew Nuts হিসাবেও চিনি
এছাড়াও আরো অনেক পার্থক্য রয়েছে
কাঠ বাদাম :
যেমন কথা বাদাম আমাদের দেশে এখনো চাষাবাদ হয়না (কখনো হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলে আমার মনে হয় না)
এটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে জন্মানো লেডউড জাতীয় Combretaceae পরিবারের একটি বৃক্ষ।
কাঠবাদামের গাছের আদি নিবাস কোথায় তা জানা যায় না। এটি আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া সহ অস্ট্রেলিয়া অবধি উষ্ণ অঞ্চলে জন্মে থাকে। সাম্প্রতিক কালে আমেরিকা মহাদেশেও এই গাছটি বিস্তার লাভ করেছে। একে নানা নামে বিভিন্ন স্থানে ডাকা হয়, যেমন বেঙ্গল আখরোট, সিঙ্গাপুর আখরোট, ইবেলবো, মালাবার আখরোট, নিরক্ষীয় আখরোট, সমূদ্র আখরোট, ছাতা গাছ, আব্রোফো ন্‌কাটি, জানমান্দি ইত্যাদি।
কাঠ বাদামের গাছ ৩৫ মিটার (১১৫ ফুট) উঁচু হয়।

কাজু বাদাম:
কাজু বাদাম অত্যন্ত সুস্সাদু একটি বাদাম। কাজু গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম Anacardium occidentale; প্রতিশব্দ Anacardium curatellifolium A.St.-Hil.) সপুষ্পক অ্যানাকার্ডিয়েসি পরিবারের বৃক্ষ।এটি একটি অর্থকরি ফসল। বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়। বেলে দো আশঁ মাটি অথবা পাহাড়ের ঢালে ভাল জন্মে। এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কাজু বাদামের চাষ বেশি হয়।
কাজুবাদামের উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল। বর্তমানে প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, মাদাগাস্কার প্রভৃতি দেশে কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়ে থাকে।
এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে কাজু বাদামের চাষ হয় ,
পূর্ণবয়স্ক গাছ ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা অর্ধডিম্বাকার, দেখতে কাঁঠালের পাতার মতো।

Comments

Popular posts from this blog

গোলের রস ও গোলের মিঠা

কাউফল-দেশীয় ফল