ফাতরা জংগল ও আমার ছেলেবেলা (৩য় পর্ব)

আমার জীবনের একটি চরম অজ্ঞিতাও বলা চলে। আমার বাড়ী আমতলী ও তালতলীর মাঝামঝি স্থানে, সে দিন বিকাল বেলা আমি এবং আমার খেলার সাথিরা গোলের ডিগা দিয়া নৌকা বানাইয়া ভাসাইতে ছিলাম এবং আনন্দ অনুভব করতেছিলাম। আমরা প্রায়ই এই কাজটা করতে ভাসতাম, মাঝে মাঝে তাতে পাল তুলতাম আবার না ধরনের সাজ সজ্যা করতাম, এটা ছিল নিতান্তই খেলা।

বরাবরই আমার সাহসটা একটু বেশী ছিল। দুষ্টমি করায় একটু পটুই ছিলাম। এজন্য অনেক বার বকাঝকা খেতে হয়েছে। তাড়াও খেতে হয়েছে শত শত বার তবুও এই সহসি কোন কাজ সমনে আসলেই আমি তাদের সামনের কাতারেই থাকতাম, বাবা আমাকে প্রায়ই বলতো, তোমার যা মনে চায় তুমি তাই কর, আমার কথাতো মোটেই শোন না, তাই তোমাকে আমি আর কিছু্ই বলবো না। তবে মা আমাকে ছাড়তো না, মাঝে মধ্যে পিটুনিও দিত।

সে দিন আকাশে মেঘের আনাগোনা একটু বেশী, ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে, তার সাথে একটু একটু বাতাসও আছে। আমার বড় ভাই গরু দুটো এবং মহিষ গুলোকে বেধে এসে বাবাকে বলতে লাগলেন, "আকাশের অবস্থা বেশী ভালনা, বুঝা যায় না কি হয়।" বাবা তার স্বাভাব মতই বললেন, "আল্লাহু যা চান তাই হবে।" আমি একবার প্রতিদিনের মত মহিষগুলোকে একবার দেখে আসলাম, একটি মহিষ আমার খুবই প্রিয় ছিল, চেলা মহিষ, তার শিং দুটো ভারী সুন্দরও বটে । অন্য সবাই তার সামনে যেতে পারতো না কিন্তু আমি বা আমার বড় ভাই তার সমনে গেলেই মহিষটি তার মাথা নোয়াইয়া ভালবাসার সম্মতি জানাইতো, আমি প্রায়ই তার পিঠে উঠে বসে থাকতাম, সে ঘাস খাইতো এবং আস্তে আস্তে হাটতো। মাঝে মধ্যে অন্যান্য মহিষ গুলোকে সে একাই গুতাইয়া এক জায়গায় জড় করতো। আমার ভালই লাগতো, আমাকে আর বেশী খুজতে হতো না। আমাদের সেই রাখার বাদশা সাথে সাথেই থাকতো কিন্তু ঐ দিন বাদশা তার নানা বাড়ীতে বেড়াতে গেল।

রাত সাতটা বাজে এমন সময় আকাশে মেঘের আওয়াজ। নীচের গাছ পালা শান্ত কিন্তু এত জোড়ে মেঘের আওয়াজ শুনে সবাইর খুবই মন খারাপ, আমার আব্বা বার আজান দিতেছেন আর সবাইকে বলতে ছিল। আল্লাহ আল্লাহ করো, বলা যায় না কি হয়। বাবা তারাতারি ঘরে এসেই বড় ভাইকে বলতে লাগলেন, "মহিষের দড়ি কেটে দাও, বন্যার পানি আসতেছে, মানুেষর কান্না শোনা যায়।" আমি দরজার পাশ্বেই "চিলু দাও", মানে গোলগাছের ছড়া কাটার এক ধরনের ছোট দাও এটাকে "চিলু দাও" বলে থাকে আমাদের গ্রামের ভাষায়, এটি এতই ধারালো যেখানে একবার বাজবে, তা কেটে দ্বিখন্ডিত হতে বেশী সময় লাগবে না।

যাই হোক, এই দাও নিয়া ভো দৌড় দিলাম, কে কার কথা শুনে, আমার মহিষ গুলো জোড়ে জোড়ে ডাকতে আরম্ভ করলো হয় তো তারা আগেই বিপদ আসার সংকেত পেয়ে গেছে। তারা তারি মাহেষের রশি কেটে দিলাম। শুধু বাকি আছে চেলা মহিষটা, তার দড়ি কেটে চিলু দাওটা মাত্র তালগাছের সাথে কোপ দিয়া রাখতেই পানি এসে গেল, আমার বাবা আমাকে ডাকতেছিল, আমি তার ডাকে সাড়া দিতে না দিতেই পানি অনেক উচ্চ হয়ে আসতে লাগলো, যখন বিজলি জমকায় তখন সবকিছু্ পরিস্কার দেখা যায়, দেখতে দেখতে আমার কোড়রের উপরে পানি উঠে গেল। বাবা চিৎকার দিয়া বলতে ছিল, মহিষের পিঠে উঠ, মহিষ ছাড়িস না, তা হলে উপায় নাই, আমার এর আগে বন্যার ছোটঘাট অভিজ্ঞতা আছে, যেহেতু আমি সেই ফাতরা এলাকারই মানুষ। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতে পানি আমাকে এবং আমার মহিষকে ঘিরে ফেললো। আমি মহিষের পিঠে উঠে পড়লাম, পড়নে একটি লুংগি ও একটি গামছা কোমড়ে বাধা আছে, বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছে, বিজলি চমকাচ্ছে, যখন বিজলি জমকায় তখন আর চারি পাশ্বে মানুষের ও জীব জানোয়ারের লাশ দেখতে পাই, কতক্ষন যে আমি ভেসে ছিলাম, তা বলতে পারলাম না, আমার পাশ্বে কুমির সাতার কাটতে দেখেছি কিন্তু কাউকে কামড়াতে দেখি নি। কি আচার্য্য ব্যাপার যেই কুমির যা কিছু পায় তাই খায় কিন্তু আজ কুমির নিজের জীবন নিয়েই ব্যস্থ আছে। কমপক্ষে ৭/৮ ঘন্টা যাবৎ ভাসতে ছিলাম, আমি কি নদীতে না সাগরে, কিছুই বুঝার ক্ষমতা তখন আমার ছিল না। ভাসছি তো ভাসছি, তবে এটা বুঝতে পারলাম আমি পূর্ব দিকে যাইতেছি। কান্নার শব্ধ মনে হয় দুই এক ঘন্টার বেশী শোনা যায় নাই। শুধু তুফান ও বাতাস, শরীরের সাথে এসে মরা লাশ ও আর লাশ এসে বাজতো কান্না কি শব্দ ভুলেই গেলাম। কোন টা মানুষের কোনটা পশুর বা কোনটা কি বুঝতার বোধ শক্তি হাড়াতে লাগলাম। মাঝে মাঝে একটু চিন্ত হতে ছিল, যদি সমুদ্রে নেমে যাই তবে হয়তো আর বাচার সম্ভাবনা থকবে না। আমি ছোট বেলা থেকেই আয়তাল কুরছি জানতাম, তাই পড়তে লাগলাম।

হঠাৎ বাতাসের গতি পরিবর্তন হলো বলে আমার মনে হয়। মহিষ মোটেই সাতার কাটছে না। এবার মহিষগুলো মনে হয় পশ্চিম দিকে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে আমি মোটেও বুঝতে পারলাম না, সকাল ৮ টার সময় মহিষগুলো দাড়াইল কিন্তু কোথায় দাড়াইল কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমার মনে হয় এই এলাকায় কোনদিন আসিনি। কোথাও্ কোন জন মানুষের কোন চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায় না, একটি লোক গাছের মাথায়, অনেক লাম্বা একটি কেওড়া গাছ, তার মাথায়, গলার আওয়াজ বের করার চেষ্টা করলাম কিন্তু মনে হয় আমার কথা আমি ছাড়া অন্য কেউ শুনবে এখন এমন লোক আর কেউ নাই । গাছের উপরে লোকটাকে ডাকতে আরম্ভ করলাম, কিন্তু কোন সাড়া পেলাম না। মহিষগুলো উত্তর দিকে হাটতে আরম্ব করলো, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । মহিষগুলোকে কোথায় নিয়া যাবে। আমার বাড়ী কোন দিকে বা এই জায়গাটাই বা কোন জায়গা, কিছুই ঠিক করতে পারলাম না। মহিষ গুলো হাটছে তো হাটছে, কোথায় যাচ্ছে আমার ধারনার বাহিরে, প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টার পর এক জন লোকের দেখা মিললো জিজ্ঞাসা করলাম চাচা এই জায়গাটার নাম কি, তিনি উত্তর দিল, কালমেঘা, আমি কোন দিন এ্ই জায়গার নামও শুনি নি, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলো তোমার বাড়ী কোথায়, আমি বললাম আমতলী, তিনি আমাকে বললো, কোন আমতলি, পূর্বে আমতলী, আমি জবাব দিতে পারলাম না।, তিনি আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, গ্রামের নাম বলো, আমি বললাম বগী, তিনি বলো, তুমি মহিষগুলোকে নিয়া উত্তর দিকে যাও, তার পর যখন জোয়ার আসবে তখন মহিষ নদীতে নামাইয়া পূর্ব দিকে যাইও। এই বার আমার মনে হলো এই লোক আমার এলাকা চিনে, তাই আমাকে এই কথা বলেছে। ক্ষুধা আমাকে আকড়াইয়া ধরিয়াছে, সাড়া রাত্র মহিষের পিঠে বসে ছিলাম, ক্ষুধা ও ঘুম সমান তালে আমাকে দুর্বল করিয়া দিয়াছে। মহিষের সাথে সাথে হাটতে আমার খুবই কষ্ট হইতে ছিল। একমাত্র খাবার পাইতেছি ডাব নারিকেল, সমস্যা দেখাদিল কিভাবে খাব, একটি ডাব বোটা কামড়াইয়া ছিরা, টুনির আগা দিয়া কো ভাবে ফুটা করা সম্ভব হলো ততক্ষনে মহিষ গুলো অনেক টা পথ গিয়া দাড়িয়েছে। পানির পিপাসা মোটামুটি মিটলো কিন্তু ক্ষুধা আমাকে আকড়াইয়া ধরিয়াছে। ৩/৪ মাইল উত্তর দিকে যাওয়ার পর ২/৩জন লোকের দেখা মিললো, জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই এই জায়গার নাম কি? তিনি আমাকে উলটো প্রশ্ন করলো তোমার বাড়ী কোথায় আমি বললাম আমার বাড়ী আমতলী, বগী, সে আমাকে বললো, বড় বগি না ছোট বগী, আমি বললাম বগী, সে আমার বাড়ীর নাম ও দাদার নাম জনতে চাইলেন। আমি আমার পরিচায় বিস্তারিত জানালাম, তিনি কেদে ফেললেন, তুমি মইষের পিডে বাইচা আছ, আমার পোলাপাইন কোথায় গো, বলতে বলতে শুধুই কাদঁতে ছিল। আমার মাথায় হাত বুলাইয়া, তিনি আমাকে বলতে ছিলেন, সমনে কাকচিরা ওখানে দুমরিয়ার সময় মহিষ নামাইয়া ঐ পাড়ে যাও, এর পর খালি পূর্ব দিকে যাইতে থাক, আমি তাই করলাম, কাকচিরা থেকে মহিষ বিশখালি নদীতে মহিষ নামাইয়া দিলাম, সাড়া রাতে ভয় পাই নি কিন্তু আজ নদীতে সাতরাতে ভয় পাইতেছি, চেলা মহিষটা সবমহিষের মধ্যে থাকিয়া সাতার কাটিতেছে। সন্ধার সময় নদী পার হইলাম। বরগুনার মধ্যে আসলাম, কিছু দুর পর পর দুই একজন মানুষ পাওয়া যায়। কিন্তু সবাই কান্দেঁ আর কান্দেঁ, সব কান্নার অর্থ সেই দিন বুঝতে না পারলেও আজ ঠিকই বুঝতে পারলাম, স্বজন হারানো কি ব্যাথা। রাত হয়ে গেল মহিষ গলো জড় হয়ে শুয়ে আছে, আমি তাদের মাঝে, বলি মহিষ টার সাথে ঠেস দিয়া শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম, কখন যে রাত শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। খুধায় এতই কাতর হলাম যে, দাড়াতে পারছিলাম না, হাটতে হাটতে বরগুনা টাউনের কাছে আসতেই একজন লোক আমাকে বললো, কতদিন খাওনি। আমি বললাম আজ দুই দিন হয়েছে। সে আমাকে আধা শের পরিমান চিরা ও আখের গুর দিল, আমি খাইতে খাইতে যখন পায়রা নদীর পাড়ে পৌছলাম তখন সন্ধা একজন মহিলা আমাকে বললো, তুমি কি আমতলীর লোক আমি মাথা নেড়ে সায় জানালাম। তিনি আমাকে বললো, তুমি কিন্তু রাতে মহিষ নদীতে ফালাইও না। দিন হইলে যাইও, আমি সবকিছু বুঝে উঠার আগেই মহিষগুলো আমাকে চারিদিকে ঘিরে ধরলো, আমি মাঝখানে এবং মহিষগুলো আমার চারিদিকে ঘুরছে এবং জোড়ে জোড়ে ডাক ছাড়ছে, অল্প একটু সমনে আগাতেই মনে হলো ঘর বাড়ী ছিল উচ্চ জায়গা কিন্তু বাড়ী ঘরের চিহ্ন মাত্র নেই। সেখানেই রাত কাটালাম কিন্তু মহিষ গুলো না ঘুমালো না বসলো। সাড়া রাত্র দারিয়ে ছিল, পরের দিন সকালে বুঝতে পারলাম কেন তারা, সারা রাত্র একটি করেছে। পাশ্বের ছোট খালটায় বেশ কয়েকটা কুমির ছিল।

যাই হোক তার পরের দিন সকালে আমি মহিষগুলোকে পায়রা নদীতে সাতার কাটাতে চেষ্টা করলাম, কমপক্ষে ১ ঘন্টা পর তার নদীতে নামলো, তবে আমি যতক্ষন না চেলা মহিষের পিঠে উঠলাম ততক্ষন পর্যন্ত সে নদীতে নামে নাই। তার পিঠে চড়ে নদীতে নামলাম বুঝতে পারলাম তারা আমাকে তাদের জীবনের চাইতেও বেশী ভালবাসে, যখন জোহরের আজান শুনলাম, তখন আমি নদীর ২/৩ অংশ পার হইয়াছি। যখন পায়রা নদী পার হইয়া বগী উঠলাম তখন সন্ধা হইয়া গিয়াছে। এবার মহিষগুলোকে আর পথ দেখাতে হয় নাই । কিন্তু আমার শরীরে তখন আর কোন শক্তি নাই মহিষের পিঠে লেটটে আছি । মহিষ গুলো যখন জোড়ে জোড়ে ডাক ছাড়লো তখন আমার হুস হলো, কিন্তু আমি আবিস্খার হলেম আমার মায়ের কোলে, তিনি আমাকে আদর করছে, এবং কান্নাকাটি করতাছে, আর বলতেছে, "আমি জানি, আমার সন্তান বেছে আছে, আমার সন্তান মরতে পারে না। সে ফিরে আসবে। আমার কথা তোমরা তো শুনলা না, দেখ আমার সন্তান ফিরা আইছে।" মা আমাকে কিছু গরম ভাত খাইতে দিল, ভাত খাইয়া সাথে সাথে ঘুমাইয়া পড়লাম, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে, দেখলাম আমার চার পাশ্বে কিছু আমার গ্রামের লোক বসে আছে কেউ জোড়ে জোড়ে কাদঁছে আবার কেউ আস্তে আস্তে কাঁদছে। প্রত্যেকেরই আপন জন হারাইয়াছে। যদিও কখন আমি অতটা বুঝতে না পারলেও আজ ঠিকই বুঝতে পারতাছি। যে আপন জন হারানোর ব্যাথা কতই না প্রখর।

মানুষ মানুষকে কতটা ভালবাসে তার মাপ কাঠি আমার জানা নাই, আমি আমার মায়ের ভালবাসাই পেয়ে এসেছি, বাকি গুলো আমার কাছে নিতান্তই ফিকে মনে হয়েছে। পৃথিবীতে মায়ের ভালবাসার কোন তুলনা হয় না। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে যে ভালবাসে সেটা একান্তই তার অনুগ্রহ ছাড়া আর কিছুই না। তবে এই আমার পোষা মহিষ গুলো আমাকে যতটা ভালবেসেছে, তা বর্তমান সমাজের মানুষগুলোর তুলনায় অনেক অনেক গুন বেশী। তারা তাদের জীবন দিয়ে আমাকে আগলে রেখেছে। আমি হয়তো মরনের আগেও ভূলতে পারবো বলে আমার মনে হয় না।

তখন হয়তো আমি ঐ মহিষ গুলোর ভালবাস ভালবুঝতে পারি নাই। আমি যখন এই উন্নত সমাজের একজন বাসিন্দা হিসাবে বেচে আছি, আজ আমি ঠিকই ওদের ভালবাসার সঠিক মূল্যয়ন করতে মনে চাচ্ছে। আমি হয়তো ঐ মহিষ গুলোকে আর ফিরে পাবো না। বর্তমান সমাজের মানুষগুলো হয়তো সামান্যতম নিরাপত্তা দিতে চায় না। কিন্তু ঐ জানোয়ার গুলো ঠিকই আমাকে নিরাপত্তা দিতে প্রানপণ চেষ্টা করেছে। আমি আজ ভেবে সুধুই চোখের পানি ফালাই। হায়রে আমার ছেলেবেলা, আমি যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম আমার ছেলেবেলায়। হয়তো তা কোন দিনই সম্ভব হবে না। তবে, আমি ওদের ভালবাসার কাছে যে চির ঋৃনি এতে কোন সন্দেহ থাকলো না।

একটি জানোয়ার তার মনিব কে কতই না ভালবাসতো কিন্তু আমার মনিব মাহান রাব্বুল আলামিনকে কেন যেন ভালবাসি না। আমার ভাবতে কষ্ট হয়। আমাদের কে যে আল্লাহু তায়ালা দয়া করেন, আমরা যেন মহান আল্লাহ তায়ালাকে ভালবাসতে শিক্ষি।

 

Comments

Popular posts from this blog

গোলের রস ও গোলের মিঠা

কাউফল-দেশীয় ফল

"ঢেউয়া" একটি গ্রাম্য অপরিচিত ফল